বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত: আমাদের বাসা বাড়িতে কম বেশি অনেকেই বিড়াল লালন পালন করে থাকি। তবে এই আমাদের পরিচিত বিড়ালটি মাঝে মাঝে ভুলবশত কিংবা ইচ্ছে করেই আমাদেরকে আঁচড় দিয়ে দেয় কিংবা কামড় দিয়ে দেয়। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিশেষ কিছু সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তার জন্য প্রাথমিকভাবে বিড়াল কামড়ের ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে। আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন এর দাম কত ২০২৫ সালে সেই সম্বন্ধে আলোচনা করতে চলেছি। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ লেখা টি সঠিকভাবে পড়ে তারপরে বাজার থেকে ভ্যাকসিন ক্রয় করে ডাক্তারের মাধ্যমে সেবন করবেন।
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত
বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম ৩০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা অবধি বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে। বর্তমান সময়ে দেশের বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির এবং বিভিন্ন সিস্টেম বা বিভিন্ন পরিমাণ অনুযায়ী প্রকারভেদে ৩০০ টাকা থেকে মূল্য শুরু হয়েছে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের। আপনাকে ডাক্তার যে ভ্যাকসিন টি ক্রয় করতে বলবে সেই ভ্যাকসিনটি অবশ্যই ক্রয় করবেন। আর অবশ্যই সিস্টেম করে যে কয়েকদিন আপনাকে দিতে বলবে সেই কয়েকদিন ডোজ দিবেন। সাধারণত এই ভ্যাকসিনগুলো সাত দিন পর পর কিংবা একমাস পরপর বা 15 দিন পর পর দিতে হয় প্রায় কয়েকবার। আমরা আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি সেটি অবশ্যই দেখে নিবেন।
আরো পড়ুন:
- ওমিপ্রাজল ২০ দাম কত
- ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত ২০২৫
- ফ্লুকোনাজল ৫০ এর দাম কত ২০২৫
- চিয়া সিড এর দাম কত
- টাচ ঘড়ি দাম কত ২০২৫
- পকেট রাউটার দাম কত ২০২৫
- একটা কিডনির দাম কত ২০২৫
- রাউটার দাম কত ২০২৫
বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়
বিড়াল হলো পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় পোষা প্রাণী। তাদের সৌন্দর্য, খেলার ধরণ এবং স্নেহময় আচরণের কারণে তারা মানুষের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। কিন্তু অনেক সময় তাদের আচরণের কারণে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে, বিশেষ করে বিড়াল কামড়ালে। বিড়ালের কামড়ের ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা, এমনকি রেবিসের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। এ কারণে বিড়াল কামড়ালে সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিড়ালের কামড় প্রায়শই ক্ষুদ্র আকারের হতে পারে, তবে এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। কামড়ের মাধ্যমে বিড়ালের লালারসে থাকা বিভিন্ন রোগজীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
১. রেবিস (Rabies):
- রেবিস হলো একটি মারাত্মক ভাইরাল রোগ যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে।
- এটি কামড়ানোর মাধ্যমে ছড়ায়।
- সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
২. ইনফেকশন:
- বিড়ালের দাঁতের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ত্বকে প্রবেশ করতে পারে।
- কামড়ের স্থান ফুলে ওঠা, লালচে হয়ে যাওয়া এবং ব্যথা হতে পারে।
৩. কেট স্ক্র্যাচ ডিজিজ:
- বিড়াল কামড়ানো বা আঁচড়ানোর ফলে Bartonella henselae ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এই রোগ হতে পারে।
- এটি সাধারণত জ্বর, ক্লান্তি এবং লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার কারণ হয়।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
বিড়াল কামড়ানোর পর টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. প্রথম টিকা (Day 0):
বিড়াল কামড়ানোর পরপরই, অর্থাৎ প্রথম দিনেই টিকা নেওয়া উচিত। একে বলা হয় Day 0 ডোজ।
২. দ্বিতীয় টিকা (Day 3):
প্রথম টিকা নেওয়ার তিন দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়।
৩. তৃতীয় টিকা (Day 7):
দ্বিতীয় ডোজের চার দিন পর তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
৪. চতুর্থ টিকা (Day 14):
তৃতীয় ডোজের সাত দিন পর এই ডোজ নিতে হয়।
৫. পঞ্চম টিকা (Day 28):
সবশেষ ডোজ চতুর্থ টিকার ১৪ দিন পর দিতে হয়।
বিড়াল কামড়ানোর পরপর করণীয়
কামড়ানোর পর সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হলে ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
১. ক্ষতস্থান পরিষ্কার করুন:
- হালকা গরম পানি ও জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলুন।
- পরিষ্কার করার সময় ক্ষতস্থানে চাপ না দিয়ে সাবধানে ধুয়ে নিন।
২. অ্যান্টিসেপ্টিক ব্যবহার করুন:
- ক্ষতস্থানে অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন বা ক্রিম লাগান।
৩. চিকিৎসকের কাছে যান:
- প্রাথমিক চিকিৎসার পরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. ইমিউনোগ্লোবুলিন ব্যবহার:
- ক্ষত গভীর হলে বা বিড়ালটি অপরিচিত হলে রেবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন নেওয়া যেতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন এর দাম কত ২০২৫ সালের সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন এর যে কোন কিছু বিষয়ে তথ্য পাওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব। আর নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পত্রের কিংবা যে কোন পণ্যের সঠিক মূল্য আইডিয়া পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করুন।