ডায়াবেটিস মাপার মেশিন দাম কত

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন দাম কত: যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের মাঝে মাঝে বিভিন্ন সমস্যা হলে নিয়মিত ভাবে ডায়াবেটিস মাপার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে তাদের বাসায় অবশ্যই একটি ডায়াবেটিস মাপার মেশিন খুবই প্রয়োজন। আপনার বাসাতে আপনি নিজে অথবা যে কেউ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে যদি একটি ডায়াবেটিসের মেশিন কেনার ইচ্ছা থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য। আমরা আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলটিতে আপনাদের সঙ্গে ডায়াবেটিস মাপার মেশিন দাম কত ২০২৫ সালের সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন দাম কত

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন দাম বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বাজারে শুরু হয়েছে ৯,০০ টাকা থেকে। তবে আলাদা আলাদা বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডের বিভিন্ন সেগমেন্টের এবং বিভিন্ন বাজেটের ডায়াবেটিস মাপার মেশিন রয়েছে। আপনার যে ধরনের বাজেট রয়েছে সে ধরনের যদি একটি ডায়াবেটিস মাপার মেশিন খুঁজে থাকেন তাহলে নিচে আপনার জন্য ডায়াবেটিস মাপার মেশিন দাম তালিকা দেওয়া রয়েছে। সে তালিকা থেকে আপনি একটি যে কোন ডায়াবেটিস মাপার মেশিন বাছাই করতে পারেন।

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন দাম তালিকা

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন এর মডেলদাম কত
Tyson Bio TB200 Blood Glucose Monitor Machine২,২০০ টাকা
VivaChek Ino Blood Glucose Monitoring System১,২০০ টাকা
Bioland G-425-3 Easy Blood Glucose Monitor১,২৫০ টাকা
OKmeter 1B Match Blood Glucose Monitoring System১,২৬০ টাকা
Getwell Fast Blood Sugar Check১,৬০০ টাকা
Sinocare Safe-Accu Easy Blood Glucose Meter৯,০০ টাকা
Accu-Chek Instant S Blood Glucose Monitor২,৬০০ টাকা
NTI BGM-208 Blood Glucose Monitoring System১,৮২০ টাকা
Care Chek Diabetes Glucometer১,৯০০ টাকা

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন এর কাজ কি

ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি সাধারণ কিন্তু মারাত্মক রোগ, যা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজটি সহজ করে দেয় ডায়াবেটিস মাপার মেশিন বা গ্লুকোমিটার। এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র, যা সহজেই রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় করতে পারে।

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন কী?

ডায়াবেটিস মাপার মেশিন হল একটি ক্ষুদ্র ও বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে গ্লুকোজের মাত্রা নির্ধারণ করে। এটি সাধারণত গ্লুকোজ টেস্ট স্ট্রিপ, ল্যান্সেট (সুঁই) এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে সমন্বয়ে গঠিত। এই যন্ত্রটি স্বল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবহারকারীর রক্তে শর্করার মাত্রা প্রদর্শন করতে সক্ষম।

ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের কাজ

১. রক্তের নমুনা সংগ্রহ:

  • প্রথমে একটি ল্যান্সেট ব্যবহার করে আঙুলের ডগায় ছোট একটি ফোঁটা রক্ত নেওয়া হয়।
  • অধিকাংশ গ্লুকোমিটারেই খুব কম পরিমাণ রক্তের (০.৫-১ মাইক্রোলিটার) প্রয়োজন হয়।

২. টেস্ট স্ট্রিপে রক্ত প্রয়োগ:

  • রক্তের ফোঁটা টেস্ট স্ট্রিপের নির্দিষ্ট অংশে স্থাপন করা হয়।
  • টেস্ট স্ট্রিপটি গ্লুকোমিটারের সেন্সরের সাথে সংযুক্ত হয়।
  1. গ্লুকোজের মাত্রা নির্ধারণ:
    • গ্লুকোমিটারের সেন্সর রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে গ্লুকোজের মাত্রা নির্ধারণ করে।
    • এটি সাধারণত বৈদ্যুতিক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া বা অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করে পরিমাপ করে।
  2. ফলাফল প্রদর্শন:
    • কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই (সাধারণত ৫-১০ সেকেন্ড) গ্লুকোজের মাত্রা ডিজিটাল ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হয়।
    • ফলাফল mg/dL বা mmol/L এককে প্রকাশ করা হয়।

ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের গুরুত্ব

১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা

গ্লুকোমিটার ব্যবহার করে রোগীরা নিয়মিত তাদের গ্লুকোজের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এর ফলে ওষুধ গ্রহণ, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনতে সহজ হয়।

২. জরুরি অবস্থার পূর্বাভাস দেয়

যদি গ্লুকোজের মাত্রা খুব বেশি বা খুব কম হয়, তবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়। এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়া) ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়া) থেকে রক্ষা করতে পারে।

৩. চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়

গ্লুকোমিটারের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য চিকিৎসকদের কাছে শেয়ার করা হলে, তারা আরও সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।

৪. জীবনযাত্রার পরিবর্তনে সহায়ক

যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের জন্য খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করা জরুরি। নিয়মিত গ্লুকোজ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এসব পরিবর্তন কতটা কার্যকর তা বোঝা যায়।

কীভাবে সঠিকভাবে ডায়াবেটিস মাপার মেশিন ব্যবহার করবেন?

১. পরিষ্কার হাত ব্যবহার করুন:

  • রক্ত নেওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে, যাতে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।

২. ল্যান্সেট সঠিকভাবে ব্যবহার করুন:

  • বেশি গভীরে চামড়া ফুটানো উচিত নয়, এতে ব্যথা কম হয়।

৩. নিয়মিত মেশিন ক্যালিব্রেট করুন:

  • কিছু মডেলের ক্ষেত্রে ক্যালিব্রেশন দরকার হয়, যা ভুল পরিমাপ রোধ করে।

৪. পরীক্ষার ফলাফল সংরক্ষণ করুন:

  • অধিকাংশ গ্লুকোমিটারে পূর্ববর্তী ফলাফল সংরক্ষণের অপশন থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদী বিশ্লেষণে সহায়ক।

আমাদের শেষ কথা

আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি সহজেই ডায়াবেটিস মাপার মেশিন দাম কত ২০২৫ সালের সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কোন ডায়াবেটিস মাপার মেশিনটি আপনার কাছে ভাল মনে হয়েছে এবং কোন মেশিনটি আপনি ক্রয় করতে চাচ্ছেন সেটি অবশ্যই কমেন্ট করবেন যাতে অন্যান্য মানুষজন জানতে পারে। আনন্দিত বিভিন্ন মেডিকেল পণ্য অথবা যে কোন পণ্যের মূল্য সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

Leave a Comment