ওমিপ্রাজল ২০ দাম কত | Sergel 20 Mg Capsule Price In Bangladesh

ওমিপ্রাজল ২০ দাম কত: বাংলাদেশে বর্তমানে উন্নত মানের একটি গ্যাসের ট্যাবলেটের নাম হচ্ছে ওমিপ্রাজল ২০ দাম। ট্যাবলেটটির দাম কম হতে পারে তবে কাজের দিক দিয়ে এবং গুণগত মানের দিক দিয়ে কিন্তু অত্যন্ত ভালো। আপনিও যদি গ্যাসের ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন এবং আপনার ভালো মানের একটি ট্যাবলেট এর প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ওমিপ্রাজল ২০ দাম ট্যাবলেটটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তার জন্য অবশ্য আপনাকে এটি ক্রয় করতে হবে এবং সেই কারণে ওমিপ্রাজল ২০ দাম কত সে সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন তাহলে এই দামটি সঠিকভাবে জেনে যাবেন।

ওমিপ্রাজল ২০ দাম কত

ওমিপ্রাজল ২০ দাম বর্তমানে ৬ টাকা প্রতি পিস বাজারে যেকোনো ফার্মিসির দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। এবং ১ পাতা ওমিপ্রাজল ২০ দাম ৬০ টাকা বর্তমানে দেশের যেকোনো জায়গায়। প্রতিটিস ট্যাবলেট অবশ্যই একবারই খাওয়া যাবে। তবে বয়স্ক এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য বিশেষ নিয়ম রয়েছে ডাক্তারের থেকে ভালো করে শুনে নিবেন। বাংলাদেশের যে কোন ফার্মেসিতে গেলেই আপনি এই ট্যাবলেটটি সহজেই দেখতে পাবেন কারণ এটি সচরাচর সবাই খেয়ে থাকে। সাধারণত প্রধান পর্যায়ে যাদের গ্যাস হয় অত্যন্ত কম সীমিত পর্যায়ে তাদের জন্য এই ট্যাবলেটটি। এই কারণে বাংলাদেশের যেকোন ফার্মেসিতে সচরাচর ট্যাবলেটটি দেখতে পাওয়া যায় এবং সহজেই ক্রয় করা যায় কম দামেই। যদি আপনি আপনার এলাকার ফার্মেসিগুলোতে এই ট্যাবলেট টি খুঁজে না পান সেক্ষেত্রে অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন অনেকগুলো ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে যারা ওষুধ অনলাইনে বিক্রয় করে থাকে।

আরো পড়ুন:

ওমিপ্রাজল ২০ এর ব্যবহার

ওমিপ্রাজল বিভিন্ন উপসর্গ ও রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যেমন:

  • গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসার:
    গ্যাস্ট্রিক বা ডিওডেনাল আলসারের কারণে সৃষ্ট ব্যথা উপশম এবং নিরাময়ে এটি কার্যকর।
  • নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহবিরোধী ঔষধের কারণে সৃষ্ট আলসার:
    NSAIDs ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক সমস্যার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায়।
  • গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD):
    গ্যাস্ট্রিক এসিড রিফ্লাক্স এবং এর ফলে সৃষ্ট অস্বস্তি প্রশমনে এটি ব্যবহৃত হয়।
  • অ্যানেসথেসিয়াকালে এসিড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে:
    অস্ত্রোপচারের সময় পেটের এসিড নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহৃত হয়।
  • জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম:
    বিরল একটি অবস্থায়, যেখানে শরীরে অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এসিড তৈরি হয়, ওমিপ্রাজল খুব কার্যকর।
  • হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণ:
    অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে মিলিত হয়ে, এটি পেপটিক আলসার নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।

ফার্মাকোলজি

ওমিপ্রাজল একটি বেনজিমিডাজল গ্রুপের ঔষধ। এটি গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষের প্রোটন পাম্প (H⁺/K⁺ ATPase) বাধা দিয়ে গ্যাস্ট্রিক এসিড উৎপাদন কমায়।

  • মুখে সেবনের পর ১ ঘণ্টার মধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়।
  • এর প্রভাব ২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ হয় এবং ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে।
  • সেবন বন্ধ করলে, ৩-৫ দিনের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

ওমিপ্রাজল ২০

ওমিপ্রাজল একটি পরিচিত প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI), যা গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের প্রথম পছন্দ।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ডোজ:

  1. গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার:
    • প্রতিদিন ২০ মিগ্রা, ৪-৮ সপ্তাহ।
    • গুরুতর অবস্থায়, ডোজ ৪০ মিগ্রা পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
  2. GERD:
    • দৈনিক ২০ মিগ্রা, ৪-৮ সপ্তাহ।
    • দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য দৈনিক ১০-২০ মিগ্রা।
  3. অ্যানেসথেসিয়াকালে এসিড নিয়ন্ত্রণ:
    • অস্ত্রোপচারের আগে ৪০ মিগ্রা।
  4. জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম:
    • প্রাথমিক ডোজ ৬০ মিগ্রা, দৈনিক ১২০ মিগ্রা পর্যন্ত।
  5. হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি সংক্রমণ:
    • দিনে ২০ মিগ্রা, অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে এক সপ্তাহ।

শিশুদের জন্য ডোজ:

  1. মারাত্মক GERD:
    • ওজন অনুযায়ী ১০-২০ মিগ্রা।
    • ওজন ২০ কেজির বেশি হলে ২০-৪০ মিগ্রা।

নোট: রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

  • ডায়াজেপাম, ফেনিটয়েন ও ওয়ারফেরিন:
    ওমিপ্রাজল এই ওষুধগুলোর রেচন ধীর করে।
  • থিওফাইলিন ও প্রোপ্রানোলল:
    ওমিপ্রাজলের সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিনির্দেশনা

  • ওমিপ্রাজল বা এর উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার প্রতিনিরোধিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ওমিপ্রাজল সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু মৃদু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে:

  • বমিভাব
  • মাথা ব্যথা
  • মাথা ঘোরা
  • পেটের ব্যথা
  • মৃদু ত্বকের অ্যালার্জি

তবে এ কারণে ডোজ পরিবর্তনের প্রয়োজন সাধারণত হয় না।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালীন ব্যবহার

  • গর্ভাবস্থায় এটি ব্যবহার নিরাপদ।
  • বুকের দুধে ওমিপ্রাজলের প্রভাব সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে।

সতর্কতা

  • ক্লোপিডোগ্রেল:
    ওমিপ্রাজলের সঙ্গে ব্যবহারে ক্লোপিডোগ্রেলের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
  • অস্টিওপরোসিস:
    দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • মেথোট্রেক্সেট:
    মেথোট্রেক্সেট বিষাক্ততার ঝুঁকি থাকতে পারে।

ওমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক এসিড নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর ওষুধ। এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডোজে সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার চিকিৎসায় চমৎকার ফলাফল প্রদান করে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং মিথষ্ক্রিয়া বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

আমাদের শেষ কথা

আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে ওমিপ্রাজল ২০ দাম কত এবং এছাড়া এই ওষুধটি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোনভাবেই এই ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না এতে করে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। তাই সবার প্রথমে আপনার পার্সোনাল কি ডাক্তার কিংবা যেকোনো একটি ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিবেন তারপরে ওষুধটি সেবন করবেন। আর অবশ্য এই আর্টিকেলটি সকলের সাথে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও সঠিকভাবে সঠিক দাম জেনে ওমিপ্রাজল ২০ কিনতে পারে।

Leave a Comment